ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এমপি কমলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন

এমপি কমলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু ও ঈদগাও) আসনের সংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন রামু উপজেলা আওয়ামী লীগ।

রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মন্ডল সোমবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে দেয়া এক আবেদন এমন দাবি জানান।

আবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিগত ১৪ বছর ধরে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু ও ঈদগাও) আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল দ্বারা দলীয় নেতা-কর্মীরা নির্যাতিত-নীপিড়িত এবং নাজেহাল হচ্ছে। এর মধ্যে গত ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার রামু উপজেলায় কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু ও ঈদগাও) আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল একটি কথিত নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করেছেন। যে সভাটি মুলত জামায়াত বিএনপির নেতাদের মঞ্চে এনে দলের নেতাদের প্রকাশ্যে চরিত্রহরণ ও গালিগালাজ করা হয়েছে। যেখানে জেলা ও রামু উপজেলার একজন আওয়ামী লীগ নেতাও উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি ছাত্রলীগ, যুবলীগের কোনো উল্লেখযোগ্য নেতাকেও দেখা যায়নি। মঞ্চে প্রথম সারিতে ছিলেন বিএনপি-জামায়াতের নেতারাই। সমাবেশে ছিলেন রামু উপজেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা জামায়াতের নায়বে আমির এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হোছাইন আহমদ আনছারী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সম্পাদক ছৈয়দ মোহাম্মদ আবদুর শুক্কুর, জামায়াত নেতা নুরুল হক, আলোচিত এইট মার্ডার মামলার আসামি সাবেক শিবির ক্যাডার ছৈয়দ নজরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলী হোসেন, বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো, শিবির নেতা ও ধানের শীষ সমর্থিত চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ঈসমাইল নোমান সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ‘দালাল’ আখ্যায়িত করে গালি দিয়ে কটাক্ষ করেন এমপি কমল।

এছাড়াও সংসদ-সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম-দুর্নীতি, সরকারি জমি দখল, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে জামায়াত-বিএনপির নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে জনপ্রতিনিধি করাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ারও ঘটনা দীর্ঘদিনে। তিনি এলাকায় নৈরাজ্য, শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে মারধর-হুমকি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপকর্মের ঘটনায় সমানভাবে সমালোচিত এই সংসদ-সদস্য (এমপি)। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ-এমপি কমল জনবিচ্ছিন্ন একজন জনপ্রতিনিধি। প্রতিনিয়ত দলীয় সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান, সরকারের বিপক্ষে কথা বলে আলোচনায় এসেছেন এমপি কমল।

জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে এমন একটি আবেদন জমা দেয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মন্ডল। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম আবেদনটি হাতে পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে আলোচনার পর পরবর্তি করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

এ বিষয়ে এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কক্সবাজার-৩,আওয়ামী লীগ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত